হলমার্ক দুর্নীতি মামলা: কারাদণ্ডের আদেশ শুনে পালিয়ে গেলেন আসামি

সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১ মামলার মধ্যে একটি মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের আরও সাত কর্মকর্তাকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক  মো. আবুল কাশেমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলায় জামিনে থাকা একমাত্র আসামি সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার সকালে রায় শুনতে আদালতে আসেন। হাজিরায় স্বাক্ষরও করেন। রায় ঘোষণাও শোনেন। তাকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ড শোনার পরই সবার অগোচরে আদালত থেকে পালিয়ে যান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ বলেন, জামাল উদ্দিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পেছনে তাকিয়ে দেখি তিনি কোর্টে নেই। পরবর্তীতে তাকে খুঁজে আরও পাওয়া যায়নি।

এর আগে এদিন বেলা ১২টা ৬ মিনিটে  রায় ঘোষণা করতে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুধু মামলা নম্বর ডাকেন। আসামিদের অবস্থান জানতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর আদালত রায় ঘোষণা শুরু করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রাজীব ঘোষ জানান, রায় শেষে আসামিকে খুঁজতে গেলে দেখি তিনি নেই। আসামিদের নাম ডাকা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে বলেন, তখন পরিস্থিতি এমন ছিল না।

এদিকে আসামি জামাল উদ্দিনের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আরও পড়ুন-

হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

যারা দেশের অর্থনীতিকে খেলো মনে করে, তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: আদালত