ডিএনসিসির নাম ভাঙিয়ে গাবতলীতে ইজারাদারের চাঁদাবাজি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জ্যাকেট গায়ে দিয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে রাজধানীর ভেতরে চলাচলকারী বাস থেকে টাকা তুলতে দেখা যায় কয়েকজনকে। এই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিএনসিসি থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালের ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠান রাফি ট্রেডার্স লিমিটেডের কর্মী বলে পরিচয় দেন। তাদের পরিধেয় জ্যাকেটেও ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা রয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় গাবতলীতে সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে।

কী কারণে টাকা তোলা হচ্ছে জানতে চাইলে টাকা আদায়কারী ব্যক্তিরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এই ব্যক্তিদের দাবি, রাফি টেডার্স থেকে তাদের জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে এবং টাকা তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জ্যাকেট পরে চাঁদা আদায় করতে দেখা যায় কয়েকজনকে বিভিন্ন বাস থেকে টাকা আদায়ের কাজে নিয়োজিত আলাউদ্দিন বলেন, ‘এত কিছু জানি না। আমরা বেতনে কাজ করি। আমরা না করলে আরেকজন করবে। এখানকার যিনি গাবতলী বাস টার্মিনালের ইজারা নিয়েছেন, তার আওতায় এ রাস্তাও পড়ছে। এই দেখেন, আমাদের রিসিট আছে।’

তিনি জানান, প্রতি দিন সকালে গাবতলী সড়ক হয়ে রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলো থেকে টাকা তোলা হয়। কোনও বাস যাতে বাদ না পড়ে, সেজন্য গাড়ির নম্বর তুলে রাখেন টাকা আদায়কারীদের তদারকিতে থাকা আরেক ব্যক্তি। তিনিও ইজারাদারের নিয়োজিত।

এ বিষয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে রাফি টেডার্সের অফিসে একাধিক বার গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অফিসে উপস্থিত কর্মীদের কাছে রাফি টেডার্সের দায়িত্বশীল কারও ফোন নম্বর চাইলে তারা দিতে অসম্মতি জানান। তারা এই প্রতিবেদককে পরের দিন যেতে বলেন।

চাঁদার রশিদডিএনসিসির নামে সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তোলার বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি কেবল জানলাম। দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ডিএনসিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) সালমা আক্তার খুকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইজারাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কেবলমাত্র বাস টার্মিনালের যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করতে পারবে। সড়কের ইজারা কাউকে দেওয়া হয়নি।’