নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের আরও এক মামলা

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব টাস্ট্রিজের আট জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মঙ্গলবার (২ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেন উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক।  

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান এম এ হাশেম মুত্যৃবরণ করায় আসামির তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট, স্ত্রী-স্বজনদের চাকরি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান করে দুদক। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালে অনুসন্ধান শেষে ৩০৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৭১ টাকা আত্মসাৎ, মানিলন্ডারিং, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্যান্য অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

পরবর্তীকালে একই নথি থেকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গাড়ি ক্রয় ও ব্যবহারের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন আসামিরা। তারা সাধারণ তহবিলের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় ও ব্যবহার করেন। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিক্রয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৫ টাকা এবং জ্বালানি ও চালকের বেতন বাবদ রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০৩ টাকাসহ মোট ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫৮ টাকা ক্ষতিসাধন ও আত্মসাৎ করার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

এসব অপরাধে গাড়ি ব্যবহারকারী বেনজীর আহমেদ (৭০), এম এ কাশেম (৮৪), মিসেস রেহেনা রহমান (৭৫), আজিম উদ্দিন আহমেদ (৮৩), মো. শাহজাহান (৭০), মিসেস ইয়াছমিন কামাল (৭০), মিসেস ফওজিয়া নাজ (৬১) এবং তানভীর হারুনকে (৫৪) আসামি করে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মামলাটি দায়ের করা হয়।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট, স্ত্রী ও স্বজনদের চাকরি দেওয়ার নামে অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্যসহ অন্যান্য অপরাধের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।