পোষা পাখি আমদানি ও পালন: লাইসেন্স বতিল থাকবে কাশভি এন্টারপ্রাইজের

অনাপত্তি বর্হিভূত ৩১ পাখি আমদানি এবং কাগজপত্রবিহীন ৬৫ পোষাপাখি খামারে পালনের অভিযোগে কাশভি এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের আদেশের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে তিনি জানান, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ২৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির মালিক কিশোর মিত্র ওঝাকে দেওয়া এক স্মারকে বলেন, গত বছরের ২৬ জুলাই নির্দিষ্ট সংখ্যক পাখি আমদানিতে অনাপত্তি দেওয়া হয়। ওই অনাপত্তিপত্রের বিপরীতে আমদানি করা ৩৬টি পাখির মধ্যে ৩১টি এনওসি বর্হিভূত পাখি শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে কাশভি এন্টারপ্রাইজ ও একটি শিপিং কোম্পানিকে দুই কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। 

এছাড়া সাভারের আশুলিয়ায় টহল দল সরেজমিন পরিদর্শন করে জানতে পারে, প্রতিষ্ঠানটির মালিক লাভলী ওয়াল্ড এনভারনমেন্ট নামে লাইসেন্স ও পজেশন সার্টিফিকেট গ্রহণ এবং নবায়ন করেছিলেন। কিন্তু কাশভি এন্টারপ্রাইজের নামে এনওসি নিয়ে পাখি আমদানি করেন। পরিদর্শনের সময় টহল দল বিভিন্ন প্রজাতির ৬৫টি পোষাপাখি দেখতে পান। এগুলোর উৎস ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কর্মচারীরা দেখাতে পারেননি এবং খামারে তথ্য সংরক্ষিত রেজিস্ট্রার বা প্রতিবেদন দেখাতে ব্যর্থ হয়, যা পোষাপাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা,২০২০ এর বিধি ১২ এর (১) এবং ১৩ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

সাইপ্রাস থেকে আমদানি বর্হিভূত এনওসি বর্হিভূত পাখি আমদানি এবং ৬৫ পোষা পাখি সম্পর্কে তথ্য জানাতে না পারায় পোষা পাখি লালন-পালন খামার লাইসেন্স ও পজেশন সার্টিফিকেট বাতিল করা হলো।

এর বিরুদ্ধে ২২ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আপিল করেন কিশোর মিত্র ওঝা। তার বক্তব্য, আমদানি পাখির বিষয়ে অর্থদণ্ড নিয়ে একটি আপিল বিচরাধীন রয়েছে। এছাড়া কোনও ধরেনের কারণ দর্শানো ছাড়া এভাবে লাইসেন্স বাতিল বেআইনি।

আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, আইন অনুসারে আপিল নিষ্পত্তির জন্য ৩০ দিন সময় রয়েছে। কিন্তু সেই সময় শেষ হওয়ার আগে মালিকপক্ষ হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ১৩ ডিসেম্বর রুল জারি করে ২৩ অক্টোবরের স্মারকের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। বুধবার শুনানি শেষে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল থাকবে।