‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাল্যবিয়ের বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। একটি শিশু হয়েও গর্ভে ধারণ করতে হয় আরেকটি শিশুকে। শিকার হতে হয় পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু বাড়ছে। শিশুর জন্মগ্রহণ করেই পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওতে বাংলাদেশ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাল্যবিয়ের মাধ্যমে কন্যাশিশুর স্বপ্নগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এটি অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাল্য বিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন এশিয়ার শীর্ষে। বাল্যবিয়ে নিরসনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উদ্যোগ সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে’।

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন, স্বাস্থ্য খাতে অনাচার, কিশোর অপরাধ, মাদকাশক্তিসহ অনেক সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান। এগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর ও মানবিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে মানবাধিকার ধারণাটির অবাধ বিস্তার ঘটাতে হবে।’

কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণে সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীসহ অন্যান্য অতিথিরা।