‘উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’

দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত ‘বাস্তুচ্যুতি রোধ, হ্রাস ও মোকাবিলা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালার সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, ‘বাস্তুচ্যুতির বিষয়টি প্যারিসচুক্তিতে উপস্থাপিত হওয়া উচিত ছিল। ‘অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র, ২০২১-এ’ ভুক্তভোগীদের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও কার্যত প্রকল্পগুলোতে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ কম থাকে। কোনও প্রকল্পই তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছাড়া।’

সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে চর অঞ্চলের জনগণকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবি তোলেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে উপাত্ত সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। আইওএম বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এই উপাত্ত সংগ্রহে কাজ করছে বলে তিনি যোগ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন ও রামরু’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে গৃহায়ণের পাশাপাশি তাদের সার্বিক কমিউনিটিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো সৃষ্টি করা প্রয়োজন। প্ল্যাটফর্ম অন ডিজাস্টার ডিসপ্লেসমেন্ট (পিডিডি) এবং নোরাডের সহযোগিতায় আইওএম, রামরু এবং ইকাড ‘জাতীয় কৌশলপত্র, ২০২১’ বাস্তবায়নে যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তার মূল লক্ষ্য হলো—বাস্তুচ্যুতদের সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।’’

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সাতক্ষীরা থেকে আগত বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ফাতেমা খাতুন এবং শহীদুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মিজান আর. খান, সংশ্লিষ্ট ৯টি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।