পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদাকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান টিমও গঠন করেছে দুদক। ইতোমধ্যে আইজিপি বরাবর চিঠি দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পাবনার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও বর্তমানে সিটি এসবিতে (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়ে অবৈধভাবে নিজ ও আত্মীয়-স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসে দুদকে। গোপালগঞ্জের মোচড়া গ্রামের আজম আলী খান গত বছরের আগস্ট মাসে দুদকে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে দুদক পুলিশের মধ্যম সারির এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
সোমবার (১৩ মে) পুলিশ সদর দফতরে আইজিপি বরাবর তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান মোহাং নুরুল হুদা। এসবি কর্মকর্তা শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের চাকরিতে যোগদানের তারিখ ও পদের নাম, চাকরির শুরু থেকে বেতন ভাতার পরিমাণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। কততম বিসিএস এর মাধ্যমে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এবং কোনও বিশেষ কোটায় চাকরি পেয়েছেন কিনা সেই তথ্যও চাওয়া হয়। আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে এসব তথ্য সরবরাহের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় দুদকের অনুসন্ধান টিমের পক্ষ থেকে।