রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের কনস্টেবল মনিরুলকে হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেফতার অপর কনস্টেবল কাউসার আলীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল মান্নাফ আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৯ মে কাউছারের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম মনিরুল হক গত ৮ জুন কনস্টেবল কাওছার আলীর সাথে গুলশান থানাধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সে রাত ৯ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত সশস্ত্র অবস্থায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তা মূলক ডিউটিতে নিয়োজিত ছিল। ডিউটি চলাকালে রাত পৌনে ১২ টার দিকে কাওছার আলীর সাথে ডিউটি করা নিয়ে মনিরুলে সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। বিতণ্ডার একপর্যায়ে কাওছার আলী উত্তেজিত হয়ে মনিরুলকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। তার গুলিতে মনিরুল ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে উপুড় হয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই কনস্টেবল মাহাবুবুল হক রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।