কোটা আন্দোলনে পতাকা বিক্রির হিড়িক

আন্দোলন সংগ্রামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে মাথায় বাঁধার পতাকা, বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত হেডব্যান্ড। তার ব্যত্যয় ঘটেনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের ক্ষেত্রেও। এ উপলক্ষে ব্যবসাও ভালো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, আন্দোলন ও বিভিন্ন উৎসবেই মূলত পতাকা বিক্রি বাড়ে তাদের।

রবিবার (৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবরোধকে কেন্দ্র করে পতাকা ব্যবসা জমজমাট তাদের। শাহবাগ এলাকায় কথা হয় কয়েকজন পতাকা ও হেডব্যান্ড বিক্রেতার সঙ্গে।

আন্দোলনকারীদের অনেকেই মাথায় পতাকা বেঁধেছেন, কেউবা আবার হাতে নিয়ে ওড়াচ্ছেন (ছবি: প্রতিবেদক)

৩০ বছর ধরে এসব বিক্রি করছেন নাসির হোসেন সেন্টু। তিনি জানান, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের সময় এই ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়ে। দৈনিক পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাঁচ হাজার বিক্রি করতে পারলে দুই হাজার টাকার মতো লাভ হয়। তবে কখনও কখনও গাড়ি ভাড়াও উঠে না তাদের।

মোহসিন মিয়া ১৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম ও উৎসব কেন্দ্র করেই মূলত ব্যবসা চাঙা হয়। তবে আজকের আন্দোলনে বিক্রি এখন পর্যন্ত মোটামুটি। সময়ের সঙ্গে বিক্রি আরও বাড়বে বলে তার প্রত্যাশা।

পতাকা নিয়ে আন্দোলন স্থলে এসেছেন তারা (ছবি: প্রতিবেদক)

বিভিন্ন উৎসব ও দিবসে এই ব্যবসা করেন ৭০ ছুঁই ছুঁই আনিস মিয়া। তিনি জানান, বয়সের কারণে সবসময় বের হতে পারেন না। তবে বিভিন্ন দিবস, উৎসব ও আন্দোলনের সময় পতাকা বিক্রি ভালো হওয়ায় তিনি বের হন। মোটামুটি ভালোই লাভ হয় বলে জানান তিনি।

নবাবপুরে দোকানে কাজ করেন চল্লিশোর্ধ্ব রফিক। আন্দোলনে পতাকা, হেডব্যান্ড বিক্রি ভালো হয় জেনে তিনিও ছুটির দিনে নেমেছেন ব্যবসায়। তিনি জানান, আন্দোলন সংগ্রামে পতাকা, হেডব্যান্ডসহ এই ধরনের জিনিসের চাহিদা বাড়ে বলে প্রতিবেশীর কাছে শুনেছেন। আজ ছুটির দিন হওয়ায় তিনিও বাড়তি ইনকামের আশায় নেমেছেন এই ব্যবসায়। তবে এখন পর্যন্ত তেমন একটা বিক্রি হয়নি। গাড়ি ভাড়া দিয়ে শতকরা ত্রিশ টাকা লাভ হয়।