কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা

সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের কনফারেন্স কক্ষে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

নির্দেশনাগুলো হলো—

(১) দায়িত্ব পালনে কোড অব কন্ডাক্ট যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

(২) দায়িত্ব পালনের সময়ে যেকোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে।

(৩) সেবাগ্রহীতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

(8) সেবা দেওয়ার সময় কোনও প্রকার বিলম্ব সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য হবে।

(৫) সেবাগ্রহীতাদের কোনও হয়রানি করা যাবে না।

(৬) সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে।

(৭) প্রতিটি শাখায় প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে এবং কোনও কাজ পেন্ডিং রাখা যাবে না।

(৮) প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারদের তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখাগুলো প্রতিদিন সরেজমিন মনিটর করতে হবে।

(৯) প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রাররা তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব-স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারদের নিয়মিত অবহিত করতে হবে।

(১০) মনিটর কার্যক্রম ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু হবে।

(১১) প্রতি ৪ সপ্তাহ পর পর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রাররা মনিটরিং কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া ও ফলাফল রেজিস্ট্রার- আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং রেজিস্ট্রার (বিচার)-এর কাছে রিপোর্ট করবেন; এবং

(১২) যদি কোনও কর্মকর্তা কর্মচারী আচরণবিধি এবং উল্লিখিত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনও সেবাগ্রহীতাকে হয়রানি করেন বা আর্থিক লেনদেন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৩৮টি শাখা ও আপিল বিভাগে ১৯টি শাখা রয়েছে। একজন রেজিস্ট্রার জেনারেল, তিন জন রেজিস্ট্রার, চার জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, একজন স্পেশাল অফিসার, ১২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ২০ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কোর্ট ও শাখায় মোট ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত রয়েছেন।