এ সময় উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, ‘প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে নবম ও দশম জাতীয় সংসদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ও স্থায়ী কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিও ভূক্ত করতে হবে।’
তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই শিক্ষকদের দীর্ঘ ২৩ বছরের বঞ্চনার দাবি এমপিওভুক্তি আগামি বাজেটের আগেই বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অভিযোগ করে সংগঠনের সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, ‘এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজে অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও, কোনও জনবল কাঠামো না থাকায় দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে আমরা এমপিওভুক্ত হতে পারছি না।’
এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে কলেজ কর্তৃক ধার্যকৃত সামান্য বেতনের কারণে আমরা শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি। তাই আমাদের এই মানবেতর জীবন-যাপনের অতিদ্রুত অবসান চাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অনার্স-মাস্টর্স শ্রেণীর শিক্ষকদের জন্য ৮৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার আর্থিক সংশ্লেষণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। কিন্তু তার কোনও বাস্তবায়ন নাই।’
আগামি ২২ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৪৯৩টি কলেজের ক্লাস একযোগে বর্জন ও আগামি ২৯ মার্চ স্ব স্ব কলেজে প্রতীকী অনশনের ঘোষণাও দেন তিনি।
এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক মেহরাব হোসেন, কৌশিক ভট্টাচার্য, জাবিরুল হুদা, নারায়ণ আচার্য, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এসআইএস/ এপিএইচ