বইমেলায় ঢোকার মুখে জমজমাট বিকিকিনি

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে রাঙিয়ে তুলতে অমর একুশে বইমেলায় বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। সেইসঙ্গে জমে উঠেছে বইমেলায় ঢোকার মুখে বিভিন্ন দোকানের বিকিকিনি। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠেছে বইমেলা। বাসন্তী রঙের পোশাকে সেজে মেলায় এসেছেন দর্শনার্থীরা। 

বাংলা একাডেমির সামনে ও রাজু ভাস্কর্যের পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢোকার গেটে বিভিন্ন ধরণের খাবার ও পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন দোকানীরা। কেউ বিক্রি করছেন ফুল, কেউ ঝিলমিল বেলুন, কেউ চুড়ি। আছে মোমো, ফুসকা, ভেলপুড়ি, ভাজাপোড়ার দোকান। আবার কেউ দর্শনার্থীদের ছবি এঁকে দিচ্ছেন নিপুণ হাতের আঁচরে। 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢোকার গেটে ছবি আঁকায় ব্যস্ত শিল্পীরাএসব দোকানীরা জানান, বইমেলা উপলক্ষে তাদের বিকিকিনি বেড়েছে আবার তাদের অনেকে শুধু বইমেলা উপলক্ষেই দোকান দিয়েছেন। আর ফুল বিক্রেতাদের অধিকাংশই বসন্ত-ভালোবাসা দিবস ঘিরে বসেছেন এখানে। তবে ফুলের বিক্রি খুব একটা নেই।

দোকানে দাঁড়িয়ে স্বামী-স্ত্রী কাঁচের চুড়ি দেখছেন

ফুল ব্যবসায়ী সাদেক বলেন, আজকেই ফুল নিয়ে বসেছি। ভালোবাসা দিবস আর বসন্ত উপলক্ষে ফুলের চাহিদা থাকে। তবে প্রচুর মানুষ ফুল বিক্রি করছে একারণে সবার বিক্রি কম হচ্ছে। গোলাপ ২০-৫০ টাকা বিক্রি করছি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢোকার গেটে পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন দোকানী

তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী রিত্তিকা এসেছেন বান্ধবী ফাতেমার সঙ্গে। মোমোর দোকানে অপেক্ষায় ছিলেন তারা। রিত্তিকা বলেন, ‘ঘুরাঘুরি করতে করতে ক্ষুধা লেগে গেছে। একারণে মোমো খেতে আসলাম। এখানে দামটা একটু বেশি তারপরও খাচ্ছি।’

পাশেই চুরি কিনছিলেন সুফিয়ান-রাজিয়া দম্পতি। সুফিয়ান বলে, ‘আজ ছুটির দিন তার ওপর বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস একসঙ্গে। তাই স্বামী-স্ত্রী মেলায় আসলাম। ঢোকার মুখে চুরি বিক্রি করছে দেখে দাঁড়ালাম, সে কাঁচের চুড়ি পছন্দ করে।’