বাংলা একাডেমিতে নিয়োগ জালিয়াতি, দুদকের অভিযান

জনবল নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বাংলা একাডেমিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নিয়োগ জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে দুদক।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক থেকে সোমবার অভিযান চালানো হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলা একাডেমির ১৮০টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন আহ্বান করা হলে ৫০ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে চার হাজার প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয়। কিন্তু ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় মাত্র ৫০০ জনকে ডাকা হয়। এছাড়া ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করে গোপনে ১৭৫ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়টি দুদকের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এছাড়া চাকরিতে যোগদান করা ১৩৩ জনের মধ্যে ৪৫ জন ইতোপূর্বে বাংলা একাডেমিতে চু্ক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।

আকতারুল ইসলাম আরও জানান, অভিযানের সময় নিয়োগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলা একাডেমিতে বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত অংশে কম নম্বর পেলেও ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বেশি প্রদান করার কারণে তারা চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

এছাড়া, চূড়ান্ত ফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ না করে গোপনে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়—যা স্বাভাবিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানের সময় সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করার পর কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।