নোভারটিসের শেয়ার হস্তান্তরে অনিয়ম তদন্তে হাইকোর্টের রুল

বহুজাতিক কোম্পানি নোভারটিসের শেয়ার কোনও ধরনের যাচাই-বাছাই না করে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে হস্তান্তরে সম্ভাব্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও অনিয়ম তদন্তে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, বিএফআইইউ’র প্রধান, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ লিখিতভাবে এ রুল জারির আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন রিট পিটিশনার অ্যাডভোকেট ইকতান্দার হোসাইন হাওলাদার।

পরে আইনজীবী জানান, নোভারটিসের ২৩০ কোটি টাকার শেয়ার হস্তান্তর প্রতিরোধে গত ৮ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৩০ কোটি টাকার প্রায় ১০ লাখ শেয়ার রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, এই শেয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বৈদেশিক বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। নোভারটিস বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ শেয়ার (৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬ শেয়ার) রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে বিক্রির প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে পরবর্তীকালে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।