রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ এক ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের গ্রেফতারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে ভূমিকা রাখায় চার পুলিশ সদস্য ও ছয় সাধারণ নাগরিককে পুরস্কৃত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক তথ্য জানানো হয়েছে।
পুরস্কার পেলেন যারা
পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ধানমন্ডি থানার এএসআই মাসুদ পারভেজ, এএসআই আশরাফুল, কনস্টেবল স্বপন মিয়া ও কনস্টেবল রিকন বড়ুয়া।
ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জন সাধারণ নাগরিক হলেন— ভবনের ড্রাইভার মো. বিজয়, নিরাপত্তাকর্মী মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং এসএম সোর্সিং প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. স্বপন ভূঁইয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সিয়াম ও মো. টনি।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অপরাধ দমনে জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ও পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা সম্ভব।’
তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের দৃষ্টান্ত অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয় জনকে পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্সে নিয়োগের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ধানমন্ডি শাখার গলির একটি ছয়তলা ভবনে র্যাব পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হানা দেয়। ভবনের অলংকার নিকেতন জুয়েলার্স, একটি কনসালটেন্সি অফিস ও এসএম সোর্সিং নামের প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাতরা।
ডাকাত দল ভবনের মালিক এম এ হান্নানকে অপহরণের চেষ্টা করলে ধানমন্ডি থানার একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাতরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, ফলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
এরপর, হাজারীবাগ থানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ডাকাতি ঘটনায় জড়িত আবদুল্লাহ ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।