ডাক্তার আখতার ১৯৭০ সালের শেষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তার প্রথম ইউনিট ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ফোরটি ফিল্ড অ্যাম্বুল্যান্সে। ১৯৭১-এর মার্চে তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সেখানে ফোর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে শাফায়াত জামিল-এর নেতৃত্বে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।
১৯৭১ সালে আখতার আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়, যেটা সেই সময়ে সেক্টর টু-র তরুণ মুক্তিযোদ্ধা ও ফোর বেঙ্গলের সৈনিকদের শুধু সেবাই দেয়নি, অনুপ্রেরণাও দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্যে মেজর আখতারকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৬-এ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মেডিক্যাল অফিসার থাকাকালীন সময়ে তিনি স্বেচ্ছা অবসরে যান। অতঃপর লিবিয়ায় সরকারি চাকুরি, বাংলাদেশে ফিরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পে চাকুরি করেন। ৯০-এর দশকে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। গত সাত বছর ধরে ঢাকায় অবসর জীবন কাটাচ্ছিলেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে ‘বার বার ফিরে যাই’ নামে একটি বই লিখেছেন । বইটির একটি ইংরেজি অনুবাদ-ও আছে – Advance to Contact। এছাড়া ইউরোপে তার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন গাড়িতে ইউরোপ ভ্রমণ।
আখতার আহমেদের মরদেহ বনানীর আর্মি কবরস্থানে দাফন করা হবে ।বাদ আসর ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এপিএইচ/