মুক্তির কথা বলে এ দেশে একদল শ্রমিক সংগঠন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করে চলেছে। তারা শুধু মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে। মালিক শ্রেণির সেবাদাস সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তুলতে নিরুৎসাহিত করে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের’ উদ্যোগে এক শ্রমিক সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘পুঁজিবাদী শোষণ-বৈষম্যে অবসানের লক্ষ্যে সংগ্রাম করতে হবে। মজুরি দাসত্ব উচ্ছেদের এই লড়াই জোরদার করতে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের সংগ্রামের মঞ্চে হাজির হতে হবে শ্রমিকদের। জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক রফিক আহমেদ বলেন, ‘শ্রমিকদের মুক্তির কথা বলে এ দেশে একদল শ্রমিক সংগঠন প্রতারণার ফাঁদ ফেলে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করে চলেছে। তারা শুধু মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে। মালিক শ্রেণির সেবাদাস সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তুলতে নিরুৎসাহিত করে।’
রিকশা মজদুর ঐক্যের সংগঠক শামসুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের ওপর হামলা করে চলেছে। এই হামলা প্রমাণ করে এই সরকার বড় পুঁজির সেবাদাস।’
গার্মেন্টস মজদুর ইউনিয়নের সংগঠক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফসল বড়লোক শ্রেণি ক্রমশ আত্মসাৎ করে চলেছে। তাদের রুখে দিতে শ্রমিকদের সংগঠনে যুক্ত হতে হবে। অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার দাবিতে রাস্তায় নামতে হবে।’