বান্দরবানে গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার থানচিতে এক পাহাড়ি গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্ৰেফতার ও বিচারের দাবি জানায় সংগঠনটি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আজ আট মাস অতিবাহিত হচ্ছে, তবুও বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। এখনও পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন চলছে। আমরা যখন আন্দোলনের কথা বলি, পাহাড়ি মানুষ যখন দাবি আদায়ের জন্য সমাবেশ করে, তখন আমাদের বলা হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বিচ্ছিন্ন হতে চায়। আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা লাগানো হয়।

তিনি বলেন, আমাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি। আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী নই। গতকালের ধর্ষণের ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এই ঘটনা পাহাড়ি অস্তিত্ব ধ্বংস করার জাতিগত নিপীড়ন। আমরা পর্যটনবিরোধী নই। কিন্তু পর্যটনের নামে পাহাড়িদের ওপর অত্যাচার করা হয়, পাহাড়িদের ওপর গাড়ি চাপা দেওয়া হয়, আমরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।

তিনি আরও বলেন, সাজেক থেকে শুরু করে রাঙামাটিতে প্রত্যেক চেক পোস্টে চেক করার নামে পাহাড়িদের ওপর নিপীড়ন চলছে। এটা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বান্দরবানের থানচিতে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, সম্প্রতি পাহাড়ে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয় সেখানে নাকি ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি যারা ধর্ষণের অপরাধী তারা বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে সহযোগিতা পায়। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়। বিচার না হওয়ার কারণে এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। আওয়ামী লীগ আমলেও আমরা দেখেছি ধর্ষণের কোনও বিচার হয়নি।