‘নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কখনও বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না’

‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীকে সমান অধিকার, উত্তরাধিকার আইনে সমান অধিকার এবং শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ ইসলামি শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যা আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি বিরোধী। এই সুপারিশমালা কখনই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’

রবিবার (১১ মে ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুফাসসির জোন (ঢাকা মহানগরী) আয়োজিত ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অসঙ্গতি ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা।

সাবেক প্রধান বিচারপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, নারী বিষয়ক সুপারিশমালা যারা করেছে, তারা না পড়েছে আমাদের সংবিধান বা না পড়েছে কোরআন। তারা যে সুপারিশ করেছে তার ৮০ শতাংশের সমস্যার সমাধান আমাদের সংবিধানে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি যে ২০ শতাংশ যেসব সুপারিশ করেছে, তা অত্যন্ত কুৎসিত। যেগুলো মেনে নেওয়া যায় না। এগুলো স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, কোরআনবিরোধী কোনও নীতিমালা এ দেশের মুসলিম উম্মাহ বাস্তবায়ন করতে দেবে না। অবিলম্বে নারী বিষয়ক কমিশন বাতিল করতে হবে।

ছাত্র শিবিরের দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, যারা নারী সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জড়িত ছিল এ দেশের তৃণমলের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নাই। এদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাশ্চাত্য কয়েকটি দেশে সিডোর একটি কনভেনশন সারা পৃথিবীতে চাপিয়ে দিতে চায়, বর্তমান নারী কমিশন এটিই তাদের সুপারিশমালায় তুলে ধরেছে। আমেরিকায় নারীদের সম্পদের অধিকার দেওয়া ১৮৩৯ সালে, আর ইসলাম নারীর সম্পদের অধিকার দিয়েছে ১৪০০ বছর আগে। অথচ এই কমিশন তাদের চাপিয়ে দেওয়া বস্তাপচা নীতি আমাদের ধরিয়ে দিয়েছে।

এ সময় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব, লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ড. মুফতি আবুল কালাম আজাদ বাশার প্রমুখ।