শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব বিটুসহ কারাগারে ৩

ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং করার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা মডেল থানার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটুসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত গতকাল রবিবার (১১ মে) এ আদেশ দেন।

সোমবার (১২ মে) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

অন্যরা হলেন- ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন সরকার ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নেছার আহম্মেদ। 

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আমির হামজা তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে নথি পাওয়া সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন শহীদ ফারুক সড়কের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দানের জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ৭টার দিকে আসামিরা রমনা পার্কের ভেতরে ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং করেন। এ সময় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অজ্ঞাতনামা আসামিরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনার পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।

উল্লেখ্য, আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ে সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে তার চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। তবে ২০২২ সালের ২১ জুলাই নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদ থেকে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। চাকরি ছাড়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও তখন বিষয়টি প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচিত ছিল।