কর্মকর্তারা এখনও শ্রম ভবনে ঢুকতে পারেননি

স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে শ্রমিকনেতারা

দাবি আদায়ে স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গেছেন আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা। অন্যদিকে বিজয়নগরে শ্রম ভবনের প্রধান ফটক রুদ্ধ করে বিক্ষোভ করছেন দুটি পোশাক কারখানা স্টাইলক্রাফট ও ইয়াং ওয়ান্স বিডির কয়েকশ’ শ্রমিক। তারা জানান, বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসহ সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না পেলে কোনও কর্মকর্তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেবেন না।

তবে টিএনজেডর শ্রমিকরা সেখানে আশপাশের সড়কে অবস্থান করছেন। তারা শ্রম কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন না বলে জানান শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম।

সোমবার (১৯ মে) বেলা ১১টায় তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন। এরপর নতুন কর্মসূচি দেবেন। আজ সারা দিন তাদের কোনও কর্মসূচি নেই।

এদিকে সোমবার সকাল ৯টা থেকে ফটক রুদ্ধ করে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াংওয়ান্স বিডির পোশাক শ্রমিকরা। তারা সকাল থেকেই প্রধান ফটকে নিজস্ব ব্যানার টানিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা ঘোষণা দেন, সুনির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা না পেলে কাউকে ঢুকতে দেবেন না।

এরই মধ্যে এই দুটি কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি ও কয়েকজন শ্রমিক নেতা দুপুর সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি নিয়ে গেছেন।

শ্রমিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক কে এম মিন্টু ও স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডের শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন রাজু আহমেদ ও সালমা আক্তার।

এই দুটি কারখানার শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী আমির হোসেন সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তাদের ১ হাজার ৫৮ জন শ্রমিকের ১৪ মাসের বেতন ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বকেয়া এবং ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১০ মাস ধরে আন্দোলন করছেন। মালিকপক্ষ বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও কথা রাখেনি। তাই তারা বাধ্য হয়েই গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। চূড়ান্ত আশ্বাস না পেলে সেখান থেকে সরবেন না।

অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রম ভবনের এক কর্মকর্তা জানান, মালিকপক্ষ পালিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবি পূরণের বিষয়ে চেষ্টা চলছে। তারপরও কাজে ব্যাঘাত ঘটানো দুঃখজনক।