রাজধানীর পল্টনে ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু ও নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়াসহ ১৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সোমবার (১৯ মে) এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ।
তিন দিনের রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাঈম ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম ও দিপু মোল্লা, যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান সোহাগ, কুমিল্লা জেলা উত্তর শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্য সচিব মো. আল-আমিন, মো. আব্দুল আলিম ওরফে সোহাগ সিকদার, আরিফ হোসেন ও মো. রবিউল করিম কনক।
এছাড়াও একদিনের রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— মো. মোজাম্মেল হোসেন রিপন, জাকির হোসেন ব্যাপারী, শফিকুল ইসলাম শফিক ও মহিউদ্দিন।
এদিন আসামিদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ। রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাইয়ুম হোসেন নয়ন। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ আরও কয়েকজন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে বিকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য রাজধানীর পল্টন থানাধীন বায়তুল মোকাররম ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালায়।
এসময় ছাত্র-জনতার সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের আশপাশের এলাকা থেকে আটজন আসামিকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জন আসামি বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদেরকে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ খান।