কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম ও বৈষম্য থাকবে না: লুৎফে সিদ্দিকী

 মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে, কোনও অনিয়ম ও বৈষম্যের সুযোগ রাখা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। 

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশন’ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে গত বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ হওয়ার কারণে সব প্রক্রিয়া শেষ করেও যেতে না পারাদের প্রায় ৮ হাজার কর্মী যাবেন। তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বোয়েসেলের মাধ্যমে দ্রুত পাঠানো হবে।’

বাংলাদেশে অনেক রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। তাই মালয়েশিয়া সরকার সীমিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং এই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক সংশোধন করার আলোচনা হবে।’

শ্রমবাজার ইস্যুতে মালয়েশিয়া কোনও শর্ত দেয়নি জানিয়ে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার অতীতে যারা সিন্ডিকেট করেছে তাদের মামলা প্রত্যাহারসহ কোনও শর্ত দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করছে। মালয়েশিয়া সরকার খুবই আন্তরিকভাবে দেখছে কর্মী নেওয়ার বিষয়টি। দুই পক্ষই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চায়।’

বৈঠকে মালয়েশিয়ার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. ম. শাহরিন বিন উমর। বৈঠকে দেশটিতে কর্মী পাঠানের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।