বিমানের প্রধান ফ্লাইট পার্সারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

এবার যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে বিমানের ঢাকা-দুবাই ফ্লাইটে। সেই ফ্লাইটের প্রধান ফ্লাইট পার্সার আব্দুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা করা একজন নারী কেবিন ক্রু ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের ডিসিএস রাশেদুল করিমের কাছে এই আভিযোগ করেছেন।

তবে রাশিদুল করিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনাকে কোনও ধরনের বক্তব্য দিতে পারবো না।’ জানতে চাইলে বিমানের মুখপাত্র রাওশন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অভিযোগটি তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। স্বাক্ষ্য প্রমাণে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা গেছে, অভিযোগ দায়ের করার প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবেও কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ফ্লাইটে ডিউটি করতে দেওয়া হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, অভিযোগে জানানো হয়েছে—ইনফ্লাইটে অন্য সহকর্মীর সামনে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। সাক্ষী থাকার পরও অভিযুক্ত ফ্লাইট পার্সার আব্দুর রহমান সুমনকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেবিন ক্রু ইউনিয়নের একাংশ। অভিযোগ প্রত্যাহার করতে ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে ভুক্তভোগী ওই নারী কেবিন ক্রুকে।

ফ্লাইট সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, এরআগে বিভিন্ন সময় ফ্লাইট পার্সার সুমনের বিরুদ্দে যৌন হয়রানির প্রায় ২০টি মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ বিমানের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের (বিএটিসি) চিফ ইন্সট্রাকটর জহুরা রহমানের কাছে। সেই অভিযোগগুলো আমলে না নেওয়ায় এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কারণে বেপোরোয়া হয়ে ওঠেন পার্সার সুমন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২০ বছর আগে চাকরি জীবনের শুরুতে আরও এক নারী ক্রুকে যৌন হয়রানি করায় বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখিও হয়ে ছিলেন সুমন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী কেবিন ক্রু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাক্ষী প্রমাণসহ সব তথ্য দিয়েই অভিযোগ করেছি। এখন অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ আসছে। কিন্তু আমি অভিযোগ প্রত্যাহার করবো না। ওইদিন ফ্লাইটের সবাই জানে ঘটনা। আমি এর কঠিন শাস্তি দাবি করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে ফ্লাইট পার্সার আব্দুর রহমান সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ ব্যপারে তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।