সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকি ৪ জন পলাতক।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল এই মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন আজ (রবিবার) ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করা হয়। এর মধ্য দিয়েই আনাস হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমের সূচনা হলো।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম ও মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কয়েকজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযানে সরাসরি অংশ নেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অধীনস্তদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। তাদের সহযোগিতা ও নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে ব্যবহার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, এপিসি কার, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও বিপুল পরিমাণ বুলেট। পুলিশের এই অভিযানে নিহত হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।