‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ে সোমবারও (২৬ মে) বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। ‘নিবর্তনমূলক ও কালোকানুন’ আখ্যায়িত করে এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায় সংগঠনটি। এছাড়া কর্মচারীদের রেশন ও সচিবালয় ভাতা চালুর দাবিও জানান তারা।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদদীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সোমবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের বাদাম তলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকাল ১০টায় নেতারা নিজেরা মিটিংয়ে বসবেন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে। এর পর সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলটি পুরো সচিবালয় প্রদক্ষিণ করবে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫ জারি করেছে সরকার। রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশটির পুরো নাম হবে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কোনও কর্মচারী যদি এমন কোনও কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যেকোনও সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ছাড়া বা কোনও যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অন্য যেকোনও কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন, যেকোনও সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন– তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।’
দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত দণ্ড দেওয়া যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর বিক্ষোভ করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই অধ্যাদেশ জারি করলো সরকার।