সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, ছাড়ছে বিশেষ লঞ্চ

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে সড়ক, রেল, নৌপথে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ টার্মিনাল থেকে লঞ্চযোগে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ।

শুক্রবার (৬ জুন) সদরঘাট টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়— টার্মিনাল ও পন্টুন এলাকায় উপচেপড়া ভিড় যাত্রীদের। যাত্রীদের ছোটাছুটি আর লঞ্চের স্টাফদের হাক-ডাকে পুরনো রূপে ফিরেছে সদরঘাট। কানায়-কানায় যাত্রী পূর্ণ লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যে।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানান, এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর রুটের যাত্রী ছিল বেশি। সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ কিছুটা কমেছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ছাড়া হচ্ছে বিশেষ লঞ্চ।

বরিশালগামী পারাবত লঞ্চের স্টাফ শুকুর আলী বলেন, ‘ঈদের আগের দুদিন সদর ঘাটে যাত্রীদের ভিড় বরাবরই বেশি থাকে। এখনতো আগের মতো ঈদের ৭-৮ দিন ধরে ভিড় হয় না। কেবিন মোটামুটি সবই বিক্রি হচ্ছে। ডেকও পরিপূর্ণ করেই লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে।’

এদিকে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট সড়কে যানজটে ভোগান্তির কথা জানালেও পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় স্বস্তির প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

চাঁদপুরগামী যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গুলিস্তান থেকে সদরঘাট রোডে জ্যাম ছিল ঘণ্টাখানেক। ১০ মিনিটের রাস্তা ১ ঘণ্টা বসে থাকা লাগে। তবে লঞ্চে আছে পর্যাপ্ত এসেই টিকিট পয়েছি।’

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত ৮০টা করে লঞ্চের আগমন ও নির্গমন হয়েছে। পর্যাপ্ত বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই পন্টুনে বিশেষ লঞ্চ ভেড়ানো হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে যাত্রীর চাপ কম। এখন বেশিরভাগই বরিশাল রুটের লঞ্চ ছেড়ে যাবে। সকাল থেকে বেশি চাপ ছিল যাত্রীর। আমরা পর্যাপ্ত বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছি। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে, যেন যাত্রীরা কোনও বিপত্তি ছাড়ায় গন্তব্যে যেতে পারেন।’