পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দিদেরকে ঈদের আনন্দে শামিল করতে নানা আয়োজন করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জে) কর্তৃপক্ষ। এসব আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— দুস্থ বন্দিদের জন্য পোশাক বিতরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ধর্মীয় প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। ঈদ উপলক্ষে কারাগারে অবস্থানরত দুস্থ বন্দিদের মাঝে ৬০০ লুঙ্গি এবং ৮৫০ টি-শার্ট বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) কারা অধিদফতরের এআইজি প্রিজন (মিডিয়া) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে কারাগারে অবস্থানরত দুস্থ বন্দিদের মাঝে ৬০০টি লুঙ্গি এবং ৮৫০টি টি-শার্ট বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জনাব সুরাইয়া আক্তার, জেলার এ কে এ এম মাসুম, ডেপুটি জেলার দেলোয়ার জাহান, নুরুল মুবিন, হাশেম রেজা ও তানজিল হোসেন।
ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন যমুনা ভবন
কারাবন্দিদের মানসিক প্রশান্তি ও বিনোদনের অংশ হিসেবে গত ২৫ মে থেকে শুরু হয় ৮টি দলের অংশগ্রহণে ফুটবল টুর্নামেন্ট। শুক্রবার (৬ জুন) অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। টুর্নামেন্টে যমুনা ভবন বনাম মনিহার ভবন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
চূড়ান্ত খেলায় যমুনা ভবন ১-০ গোলে জয়ী হয় এবং রানারআপ হয় মনিহার ভবন। খেলা শেষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে মেডেল, ট্রফি ও অন্যান্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন যমুনা ভবনের বন্দি মিশু।
ধর্মীয় প্রতিযোগিতা
বন্দিদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত হয় কোরআন তেলাওয়াত, আজান ও সিরাত কুইজ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৫ মে। ১১৫ জন বন্দি এতে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান হাফেজ মো. হাসান, দ্বিতীয় হাফেজ আবু বক্কর এবং তৃতীয় হন হাফেজ মো. ইস্রাফিল। আজান প্রতিযোগিতায় প্রথম আব্দুল্লাহ, দ্বিতীয় হাফেজ মো. ইস্রাফিল এবং তৃতীয় হন আবুল হাসেম। সিরাত কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম শহিদুল ইসলাম, দ্বিতীয় আল আমিন এবং তৃতীয় হন ইব্রাহিম।
সব আয়োজনেই কারা কর্তৃপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও তত্ত্বাবধানে বন্দিরা ঈদের এক ব্যতিক্রমী আনন্দ উপভোগ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার, জেলার এ কে এ এম মাসুম, এবং সংশ্লিষ্ট ডেপুটি জেলাররা।