মে মাসে সীমান্তে ১৩৩ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ

সীমান্ত এলাকায় মে মাসজুড়ে চালানো অভিযানে ১৩৩ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার অবৈধ পণ্য এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (১৬ জুন) বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজিবি জানায়, গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় অস্ত্র, গবাদিপশু, অবৈধ যানবাহন ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী।

জব্দ করা পণ্যসামগ্রী

অভিযানে ১ কেজি ৫১২ গ্রাম স্বর্ণ; ১০ হাজার ৫৪৪টি শাড়ি; ৫ হাজার ১৪০টি থ্রিপিস, চাদর ও কম্বল; ১৯ হাজার মিটার থান কাপড়; ২ লাখ ৫২ হাজার কসমেটিক্স সামগ্রী; ২৪ লাখ ৭১ হাজার আতশবাজি; ১৭ হাজার ঘনফুট কাঠ; ৯২ হাজার কেজি সুপারি; ৫০ হাজার পিস চিংড়ি পোনা; ১ হাজার ১৩১টি গরু-মহিষ; ১৩টি ট্রাক; ১৫টি পিকআপ; ৯২টি নৌকা; ৭২টি মোটরসাইকেলসহ আরও নানা ধরনের চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্র

অভিযানে দুটি দেশীয় পিস্তল, পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ৯ মিমি পিস্তল, দুটি শটগান/পাইপগান, পাঁচটি ম্যাগাজিন, চারটি ককটেল, ২৪ রাউন্ড গুলি এবং একটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।

মাদকদ্রব্য জব্দ

মাদকবিরোধী অভিযানে ৬ লাখ ২০ হাজার ৯৬৬ পিস ইয়াবা, প্রায় ১১ কেজি হেরোইন, ১ কেজি ৪১০ গ্রাম কোকেন, ২৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১০ হাজার ৫২১ বোতল ফেনসিডিল, ৮ হাজার ৯৮৩ বোতল বিদেশি মদ, প্রায় ২ টন গাঁজা এবং প্রায় ৭ লাখ পিস বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট ও নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।

বিজিবি জানায়, অভিযানে মাদক ও চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৫ জনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি সীমান্ত অবৈধভাবে অতিক্রমের দায়ে ৭১৫ জন বাংলাদেশি এবং ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনুপ্রবেশের চেষ্টা করায় ৩৯০ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বিজিবি আরও জানায়, দেশব্যাপী সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে বিজিবির নিয়মিত অভিযান আরও জোরদার করা হবে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।