চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বিডিআর সদস্যরা। সকালে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করে ৯ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রোকসেদ আলম প্রধান রিয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩ দফা দাবি আদায়ে জড়ো হন সাবেক বিডিআর সদস্যরা। তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা করেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে সেটি স্থগিত করে শহীদ মিনারেই অবস্থান করছেন বিডিআর সদস্যরা।
বিডিআর সদস্যরা বলেন, ‘আমরা আশা করছি আজ আমাদের প্রতিনিধি দল সরকারের সাথে কথা বলে একটি সন্তোষজনক ফলাফল নিয়ে আসবে। আর যদি ফলাফল সন্তোষজনক না হয় আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। এমনকি মার্চ টু সচিবালয়ও হতে পারে।’
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি
১. পিলখানাসহ সারা দেশের বিডিআর ইউনিটগুলোতে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ— বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনস্থাপন করতে হবে।