হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

দিনের ভোট রাতে করাসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের ধারা যুক্ত করার বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ আবেদন করলে বুধবার (২৫ জুন) তা মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২২ জুন দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। পরে বুধবার এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হলো।

এ মামলায় গত ২২ জুন কেএম নূরুল হুদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  ২৩ জুন তার চার দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

আজ কাজী হাবিবুল আউয়ালকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

২০২২ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। তবে দায়িত্ব পালনের সময় কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে।

জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পর ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কমিশনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে একযোগে পদত্যাগ করেন হাবিবুল আউয়াল।