হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫৬৭৪৮ জন, মৃত্যু ৪১

সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৭৪৮ জন। শুক্রবার (২৭ জুন) পর্যন্ত ফেরা হাজিদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫১ হাজার ৭৪১।

হজযাত্রী পরিবহনে তিনটি বিমান সংস্থা যুক্ত ছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৪ হাজার ৯৭২ জন , সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৩ হাজার জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৮ হাজার ৭৭৬ জন হাজিকে।

এ পর্যন্ত মোট ১৪৯টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৬৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হজ অফিসের বুলেটিন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১৫৭ জন মুসল্লি হজে গিয়েছেন। তাদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি গিয়েছিল ৩১ মে। হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন।ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।

হজে গিয়ে মারা যাওয়া ৪০ হাজির নামের তালিকা

পটুয়াখালী সদরের মো. আ. রহমান জোমাদ্দার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের মোহাম্মদ আলী, নাটোরের সিংড়ার মোছা. ফিরোজা বেগম, সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জের মোছা. ফাতেমা খাতুন, গাজীপুরের গাছার মো. আফজাল হোসাইন, ঢাকার শাহজাহানপুরের মনোয়ারা ছিদ্দিকা, দক্ষিণ সুরমা সিলেটের আফিয়া খাতুন, উত্তরা পশ্চিম ঢাকার মোছা. নাজমা রানা, মুরাদনগর কুমিল্লার বেগম সামছুন্নাহার, রামপুরা ঢাকার মো. মোজাহিদ আলী প্রাং, মনিরামপুর, যশোরের মিসেস মনজুয়ারা বেগম, ক্যান্টনমেন্ট ঢাকার রোকেয়া বেগম, চাটখিল নোয়াখালীর খাতিজা বেগম, কোতোয়ালী ময়মনসিংহের মো. মনিরুজ্জামান, আদাবর ঢাকার এ. এস. এম. হায়দারুজ্জামান, পাটগ্রাম লালমনিরহাটের আমির হামজা, কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালীর আবদুর রশিদ, উল্লাপাড়া মডেল থানা এলাকা সিরাজগঞ্জের গোলাম মোস্তফা, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধার এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল, সোনাইমুড়ি নোয়াখালীর মো. মজিব উল্যা, বটিয়াঘাটা খুলনার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা ঢাকার মনোয়ারা বেগম মনিয়া, সৈয়দপুর নীলফামারীর মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পুবাইল গাজীপুরের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান, নওগাঁ সদরের মো. আবুল হোসেন, টঙ্গী পূর্ব গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ, মাদারীপুর সদরের মোজলেম হাওলাদার, পাঁচবিবি জয়পুরহাটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফরিদগঞ্জ চাঁদপুরের মো. শাহাদাত হোসেন পাঠান, কচুয়া চাঁদপুরের মো. বশির হোসেন, পীরগঞ্জ রংপুরের মো. সাহেব উদ্দিন, মতলব দক্ষিণ চাঁদপুরের আ. হান্নান মোল্লা, গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন, সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের মো. অহিদুর রহমান, নীলফামারী সদরের মো. বয়েজ উদ্দিন, বকশিগঞ্জ জামালপুরের  হাফেজ উদ্দিন, মোহাম্মদপুর ঢাকার মো. শাহজাহান কবীর, পঞ্চগড় সদরের আল হামিদা বানু, বাজিতপুর কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পাংশা রাজবাড়ীর মো. খলিলুর রহমান এবং জয়পুরহাট সদরের গোলাম রাব্বানী।