মুরাদনগরে ধর্ষণ ঘটনার দ্রুত বিচার-কঠোর শাস্তির দাবি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে এক নারীর (২৫) ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। একাধিক অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও, এ জঘন্য অপরাধের দ্রুত বিচার এবং সব আসামির কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছে মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।

রবিবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। একইসঙ্গে, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অমানবিক ও ঘৃণ্য প্রবণতারও তীব্র নিন্দা জানায় এমজেএফ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিপীড়নের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া, নারীর প্রতি আরেক দফা নির্যাতনের শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি অপরাধের শিকার নারীর সামাজিক ও মানসিক স্থিতিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই শাস্তিযোগ্য অপরাধ সামাজিক সহিংসতাকে উৎসাহিত করে। এমজেএফ প্রত্যেক নাগরিককে এ নিষ্ঠুরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে ৩৮৩টি ধর্ষণের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। অন্তত ৭১টি ঘটনায় কোনও মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া যায়নি। এই পাঁচ মাসে মোট ধর্ষণের অর্ধেকেরও বেশি ১৯৬টি ধর্ষণের ঘটনার ভুক্তভোগীরা ১৮ বছরের নিচের শিশু।

নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় এমজেএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকর আইনের যথাযথ প্রয়োগ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

এমজেএফ অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানায়, মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর দ্রুত আরোগ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করতে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে এবং নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদাকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে। ঘটনার সত্যতা উন্মোচন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।