ঢাকা-পাবনা ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের

ঢাকা-পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন। বরিবার (২৯ জুন) ঢাকায় ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ফাউন্ডেশন তাদের ঘোষিত ১৬ দফা উন্নয়ন রূপকল্পের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চারটি প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জোড় দাবি জানায়। প্রকল্পগুলো হলো— যমুনা রেলসেতু হয়ে ঢাকা-পাবনা সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালু; যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে খয়েরচর ফেরিঘাট স্থানান্তর; পাবনা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল হামিদ সড়ক হয়ে গাছপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা।

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন মনে করে, ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু নিয়ে বারবার তালবাহানা করা হচ্ছে। এই সেবা চালু করতে একটি প্রভাবশালী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করছে; যা সরাসরি জনবিরোধিতার শামিল; এটি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

সভায় জানানো হয়, আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে কোনও ইতিবাচক অগ্রগতি না হলে পাবনার সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা। তিনি বলেন, এই দেশে আন্দোলন ছাড়া কোনও অধিকার আদায় হয় না, আন্দোলন ছাড়া কোনও প্রয়োজনও কাউকে বোঝানো যায় না। আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। শুধু একটি ট্রেন বরাদ্দ হলে বিদ্যমান অবকাঠামোতেই সার্ভিসটি চালু করা সম্ভব। এটি পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এবং প্রাপ্য অধিকার। এটা কেউ আটকে রাখতে পারবে না। কিন্তু কোনও সিন্ডিকেটের প্রভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যদি গড়িমসি করা হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন শুধু পাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।

পাবনার সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন বলেছে, এটি এখন শুধু একটি ট্রেন সার্ভিসের দাবি নয়, বরং অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য দূর করার সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ। এই চেতনা ২৪-এর জুলাই-আগস্টের গণবিপ্লবে রক্ত দিয়ে ধারণ করেছে পাবনাবাসী।