রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা আমিরকে গুলি: ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানী রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে (১৮) গুলির ঘটনায় ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি রাশেদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। দ্রুতই আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

শনিবার (৫ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম এ তথ‍্য জানান।

ঘটনার বর্ণনায় জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

ঘটনার দিন বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চার তলা ভবনের ছাদে উঠে পড়েন আমির। ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। এক পর্যায়ে ওই নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন তিনি। তবে পরে পুলিশ তাকে দেখে ফেলে। ওই সময় তাকে নিচে লাফ দিতেও বলা হয়। এক পর্যায়ে আমিরকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করেন এক পুলিশ সদস্য। ঘটনার পর তিন তলায় পড়ে গেলে কয়েকজন চিৎকার শুনে আমিরকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওইদিন রাতে  নেওয়া হয় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন আমির।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল আমিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো সাবেক এএসআই চঞ্চল সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেফতার করে।