সাংবাদিক এহসান মাহমুদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি

সাংবাদিক এহসান মাহমুদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ৩২ বিশিষ্ট নাগরিক। সোমবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়,  আমাদের বিশ্বাস এই ঘটনা জুলাই অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রয়াসের অংশ। সেই বিপ্লবের সাহসী যোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং ইতিহাসকে বিকৃত করতে এ ধরনের অপপ্রচার ও অসম্মানের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মহান জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে গত ১ জুলাই রাজধানীতে একটি রাজনৈতিক দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসম্মান ও অসদাচরণের শিকার হয়েছেন সাংবা‌দিক এহসান মাহমুদ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোল‌নে সোচ্চার থেকেছেন এবং সত্যের পক্ষে কলম ধরেছেন তিনি। তার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো লেখক, শিল্পী, গণতন্ত্রকামী নাগরিক ও সমমনাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এতে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানে এহসান মাহমুদসহ অনেক লেখক, শিল্পী, অ্যাক্টিভিস্ট  জীবনবাজি রেখে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন, দমন-পীড়নের মুখে থেকেও আপস করেননি। দীর্ঘ এই লড়াইয়ে তাদের ব্যক্তিজীবন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পেশাগত জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কোপানলে পড়ে এহসান মাহমুদ বারবার চাকরি হারালেও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— এহসান মাহমুদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মুক্তচিন্তা এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার বিরুদ্ধেই এক ধরনের আক্রমণ। আমরা এই আচরণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে সই করেছেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক  আ-আল মামুন, আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা,   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক আর রাজী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশরেকা অদিতি হক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম, গীতিকবি লতিফুল ইসলাম শিবলী, অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, লেখক ও সম্পাদক রাখাল রাহা, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র; কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক রাজু আলাউদ্দিন, কবি হাসান রোবায়েত, প্রকাশক সাঈদ বারী, সাংবাদিক দেলোয়ার হাসান,  ইসমাঈল হোসেন, কবি  মৃদুল মাহবুব, কাজল শাহনেওয়াজ, চিত্রশিল্পী ইকবাল হোসেন সানু, কবি ও সংস্কৃতি কর্মী মোহাম্মদ রোমেল, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী রেবেকা নীলা, লেখক ও অধিকার কর্মী ফেরদৌস আরা রুমী, লেখক ও প্রকাশক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, পলিটিকাল অ্যাক্টিভিস্ট বাকী বিল্লাহ, সাংস্কৃতিক কর্মী অমল আকাশ, কথাসাহিত্যিক জিয়া হাশান, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, প্রকাশক মাহাবুব রাহমান, কবি পলিয়ার ওয়াহিদ, সাহিত্যিক ও অনুবাদক অস্ট্রিক আর্যু, অনুবাদক সাম্য শরিফ লেখক, এবং লেখক  আমিনুল ইসলাম মামুন।