আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৫.০২ শতাংশ ভোট পেতে পারে, এমনটাই মনে করেন দেশের তরুণদের একটি অংশ। রবিবার (৬ জুলাই) প্রকাশিত সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সারা দেশের আটটি বিভাগের বাছাইকৃত ১৬টি জেলার ৩২টি উপজেলা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণ-তরুণী। তাদের রাজনৈতিক পছন্দ ও মূল্যবোধ, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সম্পর্কে ভাবনা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সম্ভাব্যতা নিয়ে এ জরিপে প্রশ্ন রাখা হয়।
জরিপে দেখা যায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগকে ১৫ শতাংশ তরুণ ভোট দিতে আগ্রহী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি দলটির দীর্ঘ সময়ের শাসনকাল, সাংগঠনিক ভিত্তি ও একাংশের মধ্যে টিকে থাকা আস্থার প্রতিফলন হতে পারে।
প্রেক্ষাপট ও নিষেধাজ্ঞা
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণবিক্ষোভ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর পরই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যা বর্তমানে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের কাজ পরিচালনা করছে।
চলতি বছরের ১০ মে এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অনলাইন ও অফলাইন সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হামলার সঙ্গে সংগঠনটির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তরুণদের ভোট প্রবণতা
জরিপে আরও দেখা গেছে, বিএনপির প্রতি তরুণ ভোটারদের সমর্থন তুলনামূলক বেশি। পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিএনপিকে ভোট দিতে চাইলেও নারী ভোটারদের মধ্যে এ হার ৩৭.০৩ শতাংশ। জামায়াতে ইসলামি ও নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিও যথাক্রমে ২০-২২ শতাংশ এবং ১৪-১৭ শতাংশ ভোটার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।