বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার অভিযোগে পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পিএস মো. শাহীন আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত গত ৪ জুন এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. রোকুনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ৪ জুন ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরের পিএস মো. শাহীন আলমের জামিন হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। আইনজীবীদের দাবি, ঈদের আগে গোপনে এই আসামির জামিন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জামিনের পর মামলার নথি এক মাস ধরে বিচারকের খাস কামরায় আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনও আইনজীবীই তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এই সংক্রান্তে সত্যতা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট জিআরও শাখার কর্মরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। জামিন পাওয়ার পর বিচারক নথি জিআরও শাখায় পাঠিয়ে দেন। এটা ওপেন বিষয়। গোপন করার কিছু নেই। তবে কয়েক বার এই মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে সিআরমিসের শুনানির জন্য গিয়েছে। বর্তমানে মামলার নথি মহানগর দায়রা আদালতে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. রোকনুজ্জামান জানান, এক মাসে আগে আদালত প্রকাশ্যে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। হঠাৎ করে কেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় উঠলো বুঝলাম না। মামলার নথি জিআর শাখায় ছিল। একাধিক বার সিআরমিস শুনানির জন্য নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ মে আসামিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান। শুনানি শেষে বিচারক তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায়, কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।