১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ অনৈতিক: সিপিডি

সিপিডিঅপ্রদর্শিত আয় ১০ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়াটা অনৈতিক যা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে কাম্য নয় বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। মানি লন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে ধরা পড়লে আগে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও এবারের বাজেটে ৫০ শতাংশ জরিমানা আদায়ের কথা বলা হয়েছে এটাও এক ধরনের অব্যাহতি বলে মনে করে সিপিডি। শনিবার (২০ জুন) ‘সিপিডির বাজেট সংলাপ ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিপিডি মনে করে চলমান সংকটে পোশাক খাতে বর্ধিত রফতানি মূল্যের উৎসে কর কমানো জরুরি। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের তৈরি পোশাক খাত সংকটে রয়েছে। রফতানি কমে গেছে। এমন সময় প্রস্তাবিত বাজেটে রফতানির মূল্যের ওপর উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটি কমানো দরকার।
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। সেখানে বড় অংশই আসবে অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে। এসময় কর ফাঁকি কমিয়ে কিভাবে ইনকাম ট্যাক্স থেকে বর্ধিতটা নিতে পারতাম, মানুষের ওপর চাপটা না বাড়িয়ে সে ধরনের রাজস্ব কাঠামো হলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে সেটা ভালো হতো। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নে ব্যাংক থেকে ৮৭ হাজার কোটি টাকা ধার নিলে ব্যাংক থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের অর্থ পেতে সমস্যা হবে বলেও মনে করে সিপিডি।
তিনি বলেন, মোবাইলের সিমের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ইন্টারনেটের ব্যবহার কমবে। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বড় ভূমিকা রেখেছে। এটা রহিত করলেই ভালো হবে। ব্যাংকের আবগারি শুল্ক না বাড়ালেই ভালো হতো। স্বাস্থ্যখাতে যেভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার দরকার ছিল সেভাবে দেওয়া হয়নি। হেলথ সেক্টর কোভিড রিলেটেড প্রজেক্ট কেবল একটা। এগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে বলেও মনে করে সিপিডি।