৬ ঘণ্টা পর অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ  

সব চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছিলেন ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের’ নেতাকর্মীরা।  তবে সন্ধা ছয়টার দিকে পুলিশের বাধায় অবরোধ থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে কয়েকজন নেতাকর্মী পানিতে ভিজে রাস্তা অবরোধ করে রাখলে  পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শাহবাগমুখী রাস্তাগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, এই কর্মসূচিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী ও শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট থেকে সংগঠনের  প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন।

এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন— প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান সজীব সরকার, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন আকন্দ, তসলিমা রেজা, যুগ্ম মহাসচিব ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা, তিতুমীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের দাবিগুলো হচ্ছে—

১. সব চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে।

২.সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা ও মর্যাদা নির্ধারণ করা।

৩. মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার এবং ১৯৭২ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।

৪. মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্রে মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকেরা মুজিব কোট পরতে পারবে না— এই মর্মে আইন পাস করতে হবে।

৫.মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা।

৬. মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্ধরসহ সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে।

আরও পড়ুন:

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ