‘করোনার অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই মানা হবে না’

করোনা-লকডাউনের অজুহাতে গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিক ছাঁটাই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে শ্রমিক নেতারা। রবিবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে একথা জানায় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সমন্বয়ক শহীদুল ইসলাম সবুজ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা-লকডাউনে গার্মেন্টস মালিকদের ভূমিকা নিয়ে গত বছরের মত এবারও আমরা শঙ্কিত। গতবছর মালিকরা এই শ্রমিকদের নিয়ে এক অমানবিক খেলায় মেতেছিল। ঈদে লাখ লাখ শ্রমিকের বেতন-বোনাস কর্তন করে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছিল। কয়েক লাখ শ্রমিককে ছাঁটাইও করেছিল। মালিকদের এই ভূমিকার প্রেক্ষিতে সরকারকেও নীরব থাকতে দেখেছি আমরা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি লকডাউনের অজুহাতে একদিকে দেশের অন্যান্য শিল্প-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে মালিকপক্ষ গার্মেন্টস কারখানা চালু রাখার পায়তারা করছে। এটা দ্বিচারিতা ও এক দেশে দুই নীতির শামিল। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। করোনা-লকডাউনের অজুহাতে শ্রমিকদের মজুরী, বেতন, বোনাস কর্তন ও শ্রমিক ছাঁটাই কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

নেতৃবৃন্দ আগামী ২০ রমজানের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী বোনাসসহ সকল বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ তৈরি হলে মালিক ও সরকারকেই দায় নিতে হবে বলে জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জীবন-জীবিকা নিশ্চিত না করে লকডাউন বা করোনা মোকাবিলা কোনভাবেই সম্ভব না। লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নগদ প্রণোদনাসহ আর্মি রেটে পূর্ণ রেশনিং’র ব্যবস্থা চালু করার আহ্বানও জানানো হয়।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা এ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, মোহাম্মদ ইয়াসিন, জুলহাসনাইন বাবু, শামীম ইমাম, সাইফুল ইসলাম, বিপ্লব ভট্টাচার্য, সাজিদ হোসেন প্রমুখ।