‘ডিএসসিসির হাসপাতাল ও মাতৃসদনে টিকাদান অব্যাহত থাকবে’

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দুটি হাসপাতাল ও পাঁচটি নগর মাতৃসদনে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা এবং করপোরেশনের অত্যাবশ্যকীয় সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন  মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্যবিধি তদারকি এবং মশার লার্ভার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও জানান।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে ডিএসসিসির নগর ভবনে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বাস্তবায়ন এবং করপোরেশনের জরুরি সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সভায় তাপস এ কথা বলেন।

ডিএসসিসি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘এই করোনা মহামারিতে ঢাকাবাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের মহানগর জেনারেল হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং একইসঙ্গে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়। এছাড়া মহানগর শিশু হাসপাতাল এবং আমাদের যে পাঁচটি নগর মাতৃসদন রয়েছে, সেখানেও টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। সুতরাং, আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করবো, আপনাদের যার যখন বার্তা চলে আসবে, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে টিকা গ্রহণ করবেন।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে যে কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলো চলমান থাকবে। আমাদের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে শিশুদের জন্য যে ইপিআই টিকা প্রদান করা হয় এবং মায়েদের জন্য যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়, তাও চলমান থাকবে।’

ডিএসসিসি বলেন, ‘আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা (আনিক) ও সম্পত্তি বিভাগের মাধ্যমে ১০টি অঞ্চলে ডেঙ্গুর লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এই বিধি-নিষেধগুলো (লকডাউনের বিধিনিষেধ) যাতে বাস্তবায়ন হয়, পরিপালন হয়, বাজারগুলো যাতে তিনটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, সকাল ৯টার আগে না খোলা— এ সবকিছুই তারা (আনিক ও সম্পত্তি বিভাগ) তদারকি করবেন।’

বৈঠকে অত্যাবশ্যকীয় কার্যক্রম যেমন-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিয়ন্ত্রণ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং এ সংশ্লিষ্ট যানবাহনগুলোর কার্যক্রমও চলমান থাকবে বলে জানানো হয়।

বৈঠকে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান,  প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. জাফর আহমেদসহ করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।