লকডাউনের আগের রাতে ফাঁকা ঢাকা

বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। এই লকডাউনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। তাছাড়া টানা সাত দিনের প্রস্তুতিও নিয়ে নিয়েছেন নগরবাসী। এরই মধ্যে রমজানের চাঁদা উঠেছে। এশার নামাজের পর শুরু প্রথম তারাবি। আর এ কারণেই সন্ধ্যা নামার পরপরই নগরীর সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাফিক মোড়গুলোতে পুলিশের কোনও সিগন্যালের প্রয়োজন হচ্ছ না। সিগন্যালগুলোতে দেখা যায়নি ট্রাফিক পুলিশকেও। ফাঁকা রাজপথে গণপরিবহনের সংখ্যাও ছিল কম। দু’চারটি যানবাহন দেখা গেলেও ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গন্তব্যে চলে যাচ্ছে তারা। আর বেশিরভাগ গণপরিবহনেই যাত্রীর সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা।

সন্ধ্যার পর নগরীর, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা, পল্টন, শাহবাগ, কাকরাইল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, পান্থপথসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় যানবাহনের তেমন একটা উপস্থিতি ছিল না।

এদিকে যাত্রী না পেয়ে অধিকাংশ রিকশাচালককে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরপরই বাসায় ঢুকে পড়েছেন নগরবাসী। যে কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তারা যাত্রী পাচ্ছে না।

মঙ্গলবার এশার নামাজের পর পবিত্র রমজানের প্রথম তারাবি শুরু হয়। কেউ কেউ মসজিদে আবার কেউবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায় নামাজ আদায় করেছেন। আর এসব কারণেই সন্ধ্যার পর বাসার বাইরে মানুষকে দেখা যায়নি।