চকবাজারে বসেনি ইফতারির বাজার

ঢাকায় ইফতারির বাজার বললে প্রথমেই চলে আসে পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির জমজমাট বাজারে কথা। হাজারও লোকজনের সমাগম হয় এ বাজারে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে বাজার জমজমাট থাকতো, এবার সেখানে কোনও বাজারই বসেনি। মূলত চকবাজারের শাহী মসজিদের সামনের সড়কে ইফতারের অস্থায়ী বাজার বসে প্রতি বছর। বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় কোনও ইফতারির দোকান বসেনি। স্থায়ী কিছু রেস্তোরাঁ আর কয়েকজন ফেরিওয়ালা ছাড়া কোনও দোকান খোলা নেই।

ইফতারের দোকান না বসলেও আছরের নামাজের পর মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। তবে ইফতারের দোকান খেতে না পেয়ে কমতে থাকে মানুষের উপস্থিতি। এ ছাড়াও চকবাজারের যেসব রাস্তায় প্রতি বছর ইফতারির বাজার বসতো, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুরো রাস্তা একেবারেই খালি। ইফতারির  কোনও দোকান বসেনি।

মজাদার ইফতারি কিনতে না পেরে তরমুজ কিনছেন কেউ কেউ জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলাকালে রাস্তায় কোনও ধরনের ইফতারির দোকান না বসার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও জানানো হয়েছে। মূলত এ কারণেই এবার কোনও ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেনি চকবাজারে।

তবে কেবল স্থানীয়রাই নয়, লকডাউনের মাঝেও আশেপাশের  এলাকা থেকে কেউ কেউ  এসেছিলেন চকবাজারের ইফতারি কিনতে। জামশেদ আলাম এসেছেন ঝিগাতলা থেকে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বছর প্রথম রোজায় চকবাজার থেকে ইফতারি কিনে নিয়ে যাই, এবারও আসলাম। কিন্তু কোনও দোকান বসলো না।’

রাস্তায় ইফতারির দোকান না বসায় আলাউদ্দিন সুইটমিটে ভিড় করছেন ক্রেতারাদেখা গেছে, চকবাজারে যে কয়েকটি রেস্তোরাঁ খোলা ছিল তাতেও বেচাকেনা খুব বেশি হচ্ছে না। আলাউদ্দিন সুইটমিটের বিক্রয়কর্মীরা জানালেন, এবার লকডাউনের কারণে বেশি আইটেমের আয়োজন করা হয়নি। তারপরও প্রত্যাশিত ক্রেতা না থাকায় সেগুলো অবিক্রিত থেকে যেতে পারে।