চেকপোস্টে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ

সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে চলাচল নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। এসব পোস্টে পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা অকারণে বাসা থেকে বের হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে সকাল থেকে নগরীর চেকপোস্টগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এরমধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই ছিল বেশি।

সকালে প্রগতি সরণির নতুন বাজার কোকাকোলা চেক পোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেখানে সড়কে বের হওয়ার যানবাহনগুলোকে দায়িত্বরত পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে। চেকপোস্টে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই ছিল বেশি। এসময় সড়কে দেখা গেছে প্রাইভেটকারের দীর্ঘ সারি।

তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেকপোস্টটি ছেড়ে দেওয়া হলে তখন সড়ক ফাঁকা হয়ে যায়।

একই সময় খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় যানবাহনের কোনও চাপ দেখা যায়নি। তখন পুরো বিমানবন্দর সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মূলত পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে জেরা করার কারণেই যানজট লেগেছে।

একই চিত্র দেখা গেছে বিজয় সরণি মোড়ে। সকালে ওই এলাকায়ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা মুভমেন্ট পাস দেখতে চেয়েছেন, জানতে চেয়েছেন বাইরে বের হওয়ার কারণ। ধানমন্ডি-৩২ এলাকার চেকপোস্টেও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ দেখা গেছে। নগরীর অন্যান্য চেকপোস্টগুলোতেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

পলাশী চেকপোস্টেও একই চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, সকালে আজিমপুরের বাসা থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তখন অফিসগামী ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি ছিল। চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়ি থেকে রাস্তার বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়।

ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, গতকালের মতো আজও নগরীর বিভিন্নস্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কী কারণে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করতেই এসব চেকপোস্ট কাজ করছে বলে জানান তিনি।