কোথাও ক্রেতার চাপ বেশি, কোথাও কম

ঘনিয়ে আসছে ঈদ। মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের পদচারণা, কোথাও কম আবার কোথাও বেশি। তবে অধিকাংশ দোকানি বিক্রি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন। তবে তাদের আশা রমজানের শেষ দুদিনে বিক্রি বাড়বে।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি শপিং মল ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সকালের এক পশলা বৃষ্টির কারণে দোকানিরা কিছুটা দেরিতে দোকান খোলেন। এদিন সকাল থেকে ক্রেতাদের আনাগোনাও অনেকটাই কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের চাপ। যদিও অন্যান্য দিনের চেয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল কিছুটা কম। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে এখনও রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি না মানা প্রবণতা। অনেকেই মাস্ক না পরেই মার্কেটে কেনাকাটা এবং ঘোরাফেরা করছেন।

নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম। অনেকেই দরদাম করছেন।বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আরও দুদিন বাকি। এই দুদিনে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়লে আমাদেরও বিক্রি বাড়বে। সেই আশায় রয়েছি। বিক্রেতাদের দাবি, করোনা সংক্রমণের ভীতি থাকলেও সাংসারিক খরচ মেটাতেই তারা দোকানপাট খোলা রাখছেন।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের পাশেই শপিং মল ইস্টার্ন মল্লিকা। সেখানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক কম। অনেক দোকানদার অলস সময় পার করছেন। মা বুটিক্সের ব্যবসায়ী রায়হান বলেন, গত তিন-চার দিন ধরে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক কম। বেচা-বিক্রিও মন্দা।নাবিলা থ্রি পিস শপের কর্মচারী জানান, আগে রমজান মাসে যেখানে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকার বিক্রি হতো এখন ২৫ হাজার টাকার বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ঢালি ফেব্রিক্সের কর্মচারী বলেন, ক্রেতা সংখ্যা কম। যারা আসছেন জিনিসপত্রের দাম অনেক কম বলছেন। ক্রেতারা দাম কম বলায় আমাদের পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

এলিফ্যান্ট রোডের বেশ কয়েকটি মার্কেট শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের কিছুটা আনাগোনা রয়েছে। কিছু দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ও দেখা গেছে।অনেককে অলস সময় পার করতেও দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, তাদের বেচা বিক্রি মন্দা। তারপরও কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেকেই অনেক অফার দিচ্ছে।

এদিকে, বিকালে বসুন্ধরা সিটি শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে ঘুরছেন কেনাকাটা করছেন। দোকানগুলোতেও ভিড় ছিল।