ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

দূরপাল্লার বাস বন্ধ। চালু রয়েছে ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ। তারপরেও চরম ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, মোটরবাইকসহ বিকল্প বাহনই তাদের একমাত্র ভরসা। ফলশ্রুতিতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে জ্যামের শহর ঢাকা। সড়কে যানবাহনেরও তেমন একটা চাপ নেই। বুধবার (১২ মে) নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে কারওয়ানবাজার এলাকা গিয়ে দেখা গেছে, ‘লকডাউনের’ অন্যসব দিনের মতো সড়কে গণপরিবহন নেই। মাঝেমধ্যে দুই একটি পরিবহন দেখা গেলেও তাতে যাত্রী কম। পরিবহন চালকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে চলে গেছেন। এছাড়া অনেকেই যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

নগরীর গুলিস্তান জিরোপয়েন্ট এলাকার চিত্রও একই। তাতে কোনও ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। তবে দুই একটা বাস চলাচল করছে। বাসে উঠার জন্য যাত্রীদেরও নেই কোনও তাড়া। হেলপাররা অনেক ডাকাডাকি করেও আসন পূরণ করতে পারছেন না।

একই চিত্র দেখা গেছে শাহবাগ, বাংলামটর, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, ধানমন্ডি-২৭, ৩২, সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট এলাকায়। অন্যসব দিনের মতো এসব এলাকাগুলোতেও নেই কোনও যানজট।

সকালে খিলগাঁও থেকে কাঁটাবনে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইলিয়াছ হোসেন। তিনি বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ অর্ধেকেরও কম সময় লেগেছে। রাস্তা অনেক ফাঁকা। কোথাও ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়তে হয়নি। মিরপুর থেকে ফার্মগেট এসেছেন গণমাধ্যমকর্মী আবুল কাশেম। তিনি বলেন, রাস্তায় যানবাহন নেই বললেই চলে। মনে হচ্ছে যেন গাড়িতে উঠেছে আর নেমেছি।

পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, দূরপাল্লার কোনও বাস ছাড়ছে না। কিন্তু অনেক মানুষ মাইলের পর মাইল হেঁটে বা বিকল্প পরিবহনে ঢাকা ছাড়ছেন। এক্ষেত্রে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। তারপরেও স্বজনের সঙ্গে ঈদ করার খুশিতে পথের কষ্ট ভুলে যাচ্ছে মানুষ।