ঈদের ছুটি শেষ, সচিবালয়ে সুনসান নীরবতা

ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষ হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেওয়া সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দফতর ছাড়া সরকারি অন্যান্য অফিস বন্ধ রয়েছে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা দফতরও বন্ধ রয়েছে। ফলে সচিবালয়ের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বন্ধ। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি উইং খুবই সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে। সেগুলোয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথানিয়মের কিছুটা ব্যত্যয় ঘটিয়ে সকাল ১০টার পর নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তবে শিল্প কারখানা চালু রয়েছে।

জানা গেছে, শিল্প কারখানার শ্রমিকরা ঈদের ছুটি শেষে রবিবার যথাসময়ে কাজে যোগ দিয়েছে। সচিবালয়ের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট কয়েকটি উইং খোলা রয়েছে। সেগুলোয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ১০টার পর কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজেদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তবে আগের মতো নেই সেই ঈদের চিরায়ত কোলাকুলি-করমর্দন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়, তা শেষ হয় শনিবার (১৫ মে)। লকডাউনের মধ্যে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ব্যাংক, বীমা ও শেয়ার বাজার। জানা গেছে, সেখানেও কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি। হয়নি কাঙ্ক্ষিত লেনদেন। ব্যাংকের অনেক বুথই রয়েছে গ্রাহকশূন্য।

শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে গত শুক্রবার (১৪ মে) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আগে থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্র) উপস্থিত থাকার নির্দেশ ছিলো। এ নির্দেশ অমান্য করে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন বলে জানা গেছে।

সচিবালয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় বা বা বিভাগের দু’চারজন যারা অফিস করতে এসেছেন তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সহকর্মীদের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে তিন দফা বাড়ানো চলমান লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ রবিবার (১৬ মে) মধ্যরাতে। তবে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত করা হচ্ছে।