করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় ইউএনডিপি এবং আইওএম

কোভিড-১৯ মহামারী সফলভাবে মোকাবিল করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করলো জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা)।

শুক্রবার (১১ জুন) ইউএনডিপির আয়োজনে "ইনক্লুডিং মাইগ্রেন্টস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন দ্যা সোশিও-ইকোনোমিক রিকভারি: এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম দ্যা আইওএম-ইউএনডিপি পার্টনারশিপ অন দ্যা কোভিড-১৯" শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রশংসা করা হয়।

এদিন দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান।

বাংলাদেশ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন অনুষ্ঠানে করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার নগদ টাকা ও খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সাত কোটি মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। মানুষের জীবন-জীবিকার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকার ৮ লাখ ৮৪ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে বাস্তুচ্যুত এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করেছে যার বাস্তবায়ন চলমান।

বাংলাদেশ সরকার গত বছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু গঠিত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে এবং কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ চলমান । অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির প্রতিনিধি বাংলাদেশ সরকারের এই কৌশলপত্রের প্রশংসা করেন।

আইওএম'র মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো কুড়িগ্রাম জেলায় কোভিড-১৯ এর সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের গন্তব্য নির্ধারণে যে পদ্ধতির পাইলটিং করা হয়েছে তার প্রশংসা করেন। তিনি এ পদ্ধতি অন্যান্য স্থানেও বাস্তবায়ন করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

আইওএম ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে পাইলটকৃত এ বাস্তুচ্যুতি ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাস্তুচ্যুত মানুষের গতিবিধি এবং তাদের প্রয়োজন নিরূপণ করতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি প্রধান অচিম স্টেইনার এবং আইওএম মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো ছাড়াও কিরগিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজা অটুনবায়েভা ও ইউএনডিপির লেসোথো'র আবাসিক প্রতিনিধি বেটি ওয়াবুনোহা অংশ নেন।