শেষ মুহূর্তের কেনাবেচায় ব্যস্ত নিউমার্কেট

সোমবার (২৮ জুন) থেকে দেশে কঠোর লকডাউনের নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে। এদিন থেকে গণপরিবহন, শপিং মল, মার্কেটসহ সবধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই বিশেষ প্রয়োজনে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। রবিবার (২৭ জুন) রাতেও নিউমার্কেটে দেখা গেছে ক্রেতাদের প্রচণ্ড চাপ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতি প্রয়োজনীয় টুকটাক পণ্য কিনতেই রাতে আসছেন ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এর কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

রবিবার রাতে যখন মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা, তখনও রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অন্যরকম চিত্র। এসময় অসংখ্য ক্রেতার আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

রবিবার রাতের দৃশ্যসরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্রেতাই ফুটপাতের জিনিসপত্র কিনছেন। মার্কেটের ভেতরে সেই তুলনায় চাপ কম। নিউমার্কেটের ফুটপাতে চাদর থেকে শুরু করে জামা, জুতা, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পোশাক থেকে শুরু করে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। এছাড়া সাজসজ্জার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও বিক্রি হয় ফুটপাতে। ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল মূলত এসব জিনিস কেনার প্রতি। পাশপাশি শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পোশাকও কিনছেন অনেকে।

নূরজাহান ম্যানশনের সামনে ফুটপাতের পোশাক বিক্রেতা সুমন জানান, ছোটদের পোশাক কম দামেই পাওয়া যায় এখানে। তাই ক্রেতাদের চাহিদাও থাকে। এসময় একজন ক্রেতা এসে দরদাম শুরু করেন। রাত করে কেন কেনাকাটা করতে এসেছেন, এমন প্রশ্নে  তিনি বলেন, মার্কেট তো বন্ধ হয়ে যাবে আগামীকাল থেকে। কবে খুলবে তা জানি না। কিছু দরকারি জিনিস প্রয়োজন ছিল, সেজন্য জন্য আসা।

সোমবার থেকে লকডাউন, সে কারণে অনেকে রাতেই সেরে ফেলছেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটাগ্লোব শপিং সেন্টারের সামনে বসা ফুটপাতের বিক্রেতা মাসুম বলেন, ‘মার্কেট সাধারণত আগে বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের কারণে কাল থেকে সব বন্ধ, তাই আজকে এখনও খোলা রেখেছি।’

এই মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করে গাউসিয়া পর্যন্ত পুরোটা ফুতপাতজুড়েই ক্রেতা এবং বিক্রেতার দখলে ছিল। তবে পাশের মার্কেটগুলোর ভেতরে তেমন কোনও চাপ ছিল না। হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আমির উদ্দিন বলেন, ‘ক্রেতা তেমন নেই। ঈদের আগে একটা চাপ থাকে মার্কেটে, সেটাও দেখছি না। কাল থেকে আবারও লকডাউন, এবারের ঈদের সময়টা কষ্টে যাবে।’

গাউসিয়া এলাকায় চলছে রাতের কেনাকাটাচাঁদনী চকের সামনে উন্মুক্ত স্থানে পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। সেখানেও ছিল প্রচণ্ড ভিড়। ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ব্যস্ত সাধারণ মানুষেরা।